নিজস্ব প্রতিনিধি, আলিপুরদুয়ারঃ করোনার জের বারে মন ভাল নেই কারো। অদৃশ্য শত্রুর থাবায় কাহিল মানবসমাজ। করোনার জেরে জীবন সংশয়ের পাশাপাশি অর্থনীতি ব্যবস্থা তলানিতে পৌঁছে যাচ্ছে ক্রমশ। আর যার প্রভাবে বৃহৎ শিল্প থেকে ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পেও মানুষ বড্ড অসহায় হয়ে পড়ছেন। দুর্গা পুজোর পর এখন কালি পুজো দোরগোড়ায়। করোনা আবহে কালি প্রতিমার বরাতও কম এবছর। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে ফালাকাটার মৃৎশিল্পীরা। এবছর করোনা পাল্টে দিয়েছে পুজোর আগের চেনা সেই পরিস্থিতিটা। অন্য বছর ফালাকাটা ব্লকের মুজনাই, জটেশ্বরের প্রতিমার দোকান গুলিতে এই সময় মৃৎশিল্পীরা কথা বলার সময় পেতেন না। এমনই এক মৃৎশিল্পী দিলীপ পাল জানান, এবছর দুর্ভাগ্যের বিষয় এখনও অর্ডার তেমন নেই। অন্যান্য বছর যেখানে তিনি ৮০ টি কালি প্রতিমা গড়তেন, সে ক্ষেত্রে এবছর মাত্র কয়েকটি প্রতিমা গড়েছেন। নেই আগের মতো অর্ডার। ফলে প্রতিমা কম দামেই বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। তাই লাভের আশা নেই। প্রতিমা গড়েও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মৃৎশিল্পীদের। তিনি ছাড়াও এই এলাকায় আরও বেশ কয়েকজন মৃৎশিল্পী রয়েছেন। তাদেরও অবস্থা একইরকম বলে জানান। সব মিলিয়ে অদৃশ্য মানবশত্রু করোনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত যে কোনও মানুষই পুরানো ছন্দে যে ফিরতে পারবে না, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই এখন ঈশ্বরের কাছে ওদের কাতর প্রার্থনা একটাই, 'ফিরিয়ে দাও হে প্রভু আগের সেই দিন গুলি'।